ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া এক রোহীঙ্গার নববধু নিয়ে লা পাত্তা মোক্তার মৌলভী: স্বামী দিশাহারা

মনির আহমদ,চকরিয়া  ::IMG_20170301_180001

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে এক রোহিঙ্গার নববিবাহিত স্ত্রী নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খুটাখালীর লবণ ব্যবসায়ী মোক্তার আহমদ (৪৫) প্রকাশ মোক্তার মৌলভী গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে মোহাম্মদ ফয়েজ (২৫) নামক মিয়ানমার নাগরিকের স্ত্রী আসমা বেগম (১৯)কে বসতবাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নিরুদ্ধেশ হয়ে যায় বলে অভিযোগে জানাগেছে।     এ ঘটনায় স্বামী মোঃ ফয়েজ ১০দিন ধরে হন্য হয়ে খুঁজছে জীবন সাথীকে ।
অভিযোগকারী ফয়েজ জানায়, মিয়ানমারে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে পালিয়ে আসা তার চাচাত বোন আসমা বেগমের সাথে শরিয়ত মতে ৪ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রীর আপন ছোট ভাই সহ স্থানীয় পিয়াজ্যাকাটা গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। পরে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে খুটাখালী বাজারে ছোট্ট একটি পানের দোকানের ব্যাবসা খুলে সুখে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করে। ঘটনার দিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টায় ৫নং ওয়ার্ড মাইজ পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ হোছনের পুত্র মোক্তার আহমদ প্রকাশ মোক্তার মৌলভী সহ ৪ সহযোগী সন্ত্রাসী নিয়ে তার বাড়িতে হানা দিয়ে স্ত্রী কিছু বুঝে উঠার আগেই ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায়।

এসময় পরনে ১ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন যার মুল্য ৪৫ হাজার, ৯আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দোল যার মুল্য ১৭ হাজার টাকা ও পরনে মুল্যবান কাপড় পরিহিত ছিল। ঘটনার পর স্বামী ফয়েজের পানের দোকানের জমিদার খুটাখালীর সোলতান আহমদ কোম্পানির পুত্র  মহিদুল ইসলাম টিটুকে অবগত করেন। টিটু বলেন তারা স্বামী-স্ত্রী ও স্ত্রীর এক ছোট ভাই মিয়ানমারে নির্যাতনকালে আমাদের এখানে এসে আশ্রয় নেয়। তার স্ত্রীকে মোক্তার মৌলভী জিম্মি করে তুলে নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে আমি আমার দোকানদার ফয়েজকে সহযোগীতা করি। এব্যাপারে দুষ্কৃতিকারীরা আমাকেও মিথ্যা মামলায় জড়াবে, গোপনীয় ভাবে আমার বড় ধরণের ক্ষতি করবেন ইত্যাদি বলে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন।

চাঞ্চচল্যকর এঘটনায় এলাকাবাসী বলেন তার নাম মৌলভী হলেও বাস্তবে মোক্তার মৌলভী কোন মৌলভী নয়। স্বল্প শিক্ষিত হয়ে সে লবণের ব্যাবসায় জড়িত হয়ে পড়েন দীর্ঘ সময় ধরে। মৌলভীর ছেলে হিসেবে সাধারণ মানুষ তাকে মৌলবী বলে ডাকতো। তার ৪ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে বর্তমানে ৮ম শ্রেণীতে পড়ছে। বাড়িতে রূপবতী স্ত্রী থাকার পরও দীর্ঘ সময় ধরে এলাকায় এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে মোক্তার মৌলভী। তার সাথে সর্বাত্মক সহযোগী হিসেবে থাকেন মৌলভী নামধারী আরো দুজন। আর্থিক বা সরলতাকে পূঁজি করে এলাকায় অসহায় শ্রেণীর নারীদের জিম্মি করে নিয়ে যায় এ মৌলভী ও দুই সহযোগী। সপ্তাহ দশেক দিন পর সংগোপনে ওই নারীদের পুনঃরায় ছেড়ে দেয়। এদিকে ফয়েজের স্ত্রী জিম্মির ব্যাপারে চকরিয়া থানায় একটি ডায়েরী করতে গেলে এটি সরাসরি মামলা হিসেবে এন্ট্রি হবে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: